গত মাসেই অ্যান্ড্রয়েড সাম্প্রতিক সংস্করণের (অ্যান্ড্রয়েড ৮.০) আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা করেছে গুগল। এর নাম ওরিও। চলতি বছরের মে মাসে বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলন আইও ২০১৭ উপলক্ষে এই অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করে গুগল। পিক্সেল ২ ও পিক্সেল এক্সএল ২-এর সঙ্গে এই অপারেটিং সিস্টেম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওরিও সংস্করণটির ওটিএ হালনাগাদ পিক্সেল ও নেক্সাস স্মার্টফোনে দিয়েছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই সংস্করণটিকে অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১১-এর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার আছে। অ্যান্ড্রয়েড ওরিও সংস্করণটির কয়েকটি আকর্ষণীয় ফিচার সম্পর্কে জেনে নিন:
পিকচার ইন পিকচার মোড: ওরিওতে পিকচার ইন পিকচার মোড নামের ফিচারটি দিয়ে কোনো স্মার্টফোন বা ট্যাবে একই সঙ্গে দুটি কাজ করা যায়। ফিচারটি ব্যবহার করে কোনো ভিডিও কল বা ভিডিও দেখার সময়েও ব্যাকগ্রাউন্ডে একই সময়ে অন্য অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
স্মার্ট টেক্সট সিলেকশন: গুগলের উন্নত মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় ওরিওতে টেক্সট নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। টেক্সট নির্বাচন, ঠিকানা, মেইল অ্যাড্রেস, ফোন নম্বর শনাক্ত করার পাশাপাশি এগুলো কাজে লাগানোর বিষয়ে অপশন পাওয়া যাবে।
পিন অ্যাপ শর্টকাট: অ্যাপ শর্টকাট পিন করে রাখার সুবিধা এসেছে ওরিওতে। শর্টকাট তৈরিতে নতুন অপশনও এতে এসেছে।
নতুন নকশার ইমোজি: গত মে মাসে গুগলের কর্মকর্তারা অ্যান্ড্রয়েড ও’র সঙ্গে নতুন ইমোজির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। প্রায় দেড় বছর ধরে নতুন ইমোজি নিয়ে কাজ করার পর ব্যবহারবান্ধব ইমোজি সেট ওরিওতে উন্মুক্ত করছে গুগল।
নোটিফিকেশন চ্যানেলস: অনেক অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনে বিরক্ত হতে পারেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। নোটিফিকেশন যাতে সহজে ব্যবস্থাপনা করা যায়, এর সুবিধা আছে ওরিওতে। সব ধরনের অ্যাপ থেকে যাতে নোটিফিকেশন না আসে, সে সুবিধা আছে এতে।
পাসওয়ার্ড অটোফিল: ওরিওতে গুগলের পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনার বিশেষ সুবিধা এসেছে। ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করলে অটোফিল ফ্রেমওয়ার্ক আইডি-পাসওয়ার্ড পূরণ করে দেবে। ডেভেলপারদের ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের অ্যাপে অটোফিল এপিআই দিয়ে রাখতে হবে।
জায়গা না থাকলেও আপডেট: স্মার্টফোনে জায়গা শেষ হলেও ওটিএ আপডেট পাওয়া যাবে। অর্থাৎ হালনাগাদের সময়েও ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে।
এটা ওয়াই-ফাই: ওরিওচালিত স্মার্টফোনে অবস্থানের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াই-ফাইতে যুক্ত হওয়া বা বন্ধ হওয়ার সুবিধা আছে। এতে জিপিএস চালু থাকা প্রয়োজন পড়বে।